অর্জুনের ঔষধি গুণাগুণ, ব্যবহার ও উপকারিতা

অর্জুন : অর্জুন মাঝারি থেকে বৃহৎ আকারে বৃক্ষ। অর্জুন প্রায় ২০ - ২৫ মিটার উঁচু হতে পারে। মার্চ থেকে জুন মাসের ভিতরে এদের ফুল ফোটে। এদের ফল লম্বা কান্ড সরল উন্নত, মসৃন, এবং আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।  গাছ থেকে সহজে চাল উঠানো যায়। পাতা সরল, লম্বা, ডিম্বাকৃতির। ফুল হলুদাভ ক্ষুদ্রাকৃতির, উগ্র, গন্ধবিশিষ্ট।

ব্যবহার্য অংশ : পাতা, ছাল, ফল ও কাঠ

ব্যবহার : অর্জুন গাছের ছাল, পাতা ও ফল ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অর্জুনের গাছের কাঠ বেশ শক্ত। এক সময়  গরুর গাড়ির চাকা নির্মাণে অর্জুনগাছ ব্যবহৃত হতো। কৃষি উপকরণ, নৌকা,দাড়,মাস্তুল,খনি ও নলকূপ খননে এই গাছের কাঠ ব্যবহৃত হয়।  কাঁচা পাতার রস আমাশয় রোগ উপশমে ব্যবহৃত হয়। অর্জুনের ছাল ভালোভাবে বেটে তার রস চিনি ও দুধের সাথে প্রত্যহ সকালে সেবনে যাবতীয় হৃদরোগ আরোগ্য হয়।  নিম্ন রক্তচাপ থাকলে অর্জুনের ছাল সেবনে উপকার হয়।  ছালের রস সেবনে উদরাময় ও অর্শ রোগের উপশম হয়। রক্ত আমাশয়ে অর্জুনের ছালের চূর্ণ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে নিরাময় হয়। অর্জুনের ছালের মিহি গুঁড়া মধুর সাথে মিশিয়ে মুখে লাগালে মেচতার দাগ মিলিয়ে যায়। এই গাছের পাতা তসর রেশম পোকার খাদ্য।