উৎস : ভারতবর্ষে সর্বত্র জন্মে। বাংলাদেশেও প্রচুর জন্মে। কোথাও কোথাও চাষ করা হয়। ডিসেম্বর - জানুয়ারী মাসে মাটি খুঁড়ে শেকড় তোলা হয়। শেকড়গুলি পানিতে ভালভাবে ধুয়ে রৌদ্রে শুকিয়ে নিয়ে তারপর ব্যবহার করা হয়। চীন দেশের পঞ্চাশটি মৌলিক ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে সর্পগন্ধা একটি।
সর্পগন্ধা : সর্পগন্ধা একটি বহুবর্ষজীবী বিরুৎ। প্রতি পর্বে সাধারণত ৩টি পাতা থাকে।বর্ষায় ফুল ও ফল হয়, ফল পাকলে কালো হয়।
ব্যবহার্য অংশ : মূল বা ফলের রস
ব্যবহার : যে বাড়ীতে সর্পগন্ধা গাছ থাকে সে বাড়ীতে সাপ আসে না। গাছের মূল নানা প্রকার রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় । সর্পগন্ধার মূলের বা ফলের রস উচ্চ রক্তচাপে ব্যবহৃত হয়। দৈহিক দুবর্লতা ও মানসিক অবসাদজনিত রোগেও মূলের চূর্ণ ব্যবহৃত হয়। পাগলের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহৃত হয়। সর্পগন্ধার মূল চুর্ণ করে অল্প পরিমাণ খেলে উত্তেজনা প্রশমিত হয় ও ঘুম ভাল হয়। সাধারণ জ্বর এবং পেটের গোলমালেও বেশ উপকারী উদ্ভিদ।
ক্ষতিকর : তবে ব্যবহার সাপেক্ষে এটির নানান ক্ষতিকর দিক রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ ব্রঙ্কাইটিস (শ্বাসনালীর ভিতরের আবৃত প্রদাহকে ব্রঙ্কাইটিস বলে ), হাঁপানি, গ্যাসট্রিক আলসারে এর ব্যবহার বেশ ক্ষতিকর।
No comments:
Post a Comment