কৃমি পরজীবী হিসেবে পোষক দেহে বাস করে। মানবদেহে অনেক প্রজাতির কৃমির পোষক। বিশেষ করে মানুষের অন্ত্রে গোলকৃমি, সুতাকৃমি ও ফিতাকৃমি পরজীবী হিসেবে বাস করে। কৃমির কারণে পেটে ব্যাথা, দুর্বলবোধ, বদহজম, পেটে অস্বস্থিবোধ, বমি বমি ভাব, অনিদ্রা, খাওয়ার অরুচি, রোগীর চেহারা ফ্যাকাশে হওয়া, রক্তস্বল্পতা, হাত-পা ফুলে যাওয়া, পেট বড় হয়ে ফুলে উঠা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। শিশুর জ্বর হলে অনেক সময় মলের সাথে এমনকি নাক-মুখ দিয়ে কৃমি বেরিয়ে আসে।
রোগীর মূল পরীক্ষা করে পেটে কৃমি আছে কি না তা জানা যায়।মল পরীক্ষায় কৃমির ডিম পাওয়া গেলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কৃমিনাশক ঔষধ খেতে হবে।
কৃমি আক্রান্ত ব্যাক্তি অথবা মাছির মাধ্যমে খাদ্যবস্তু দূষিত হয়। দূষিত খাদ্য কৃমি বিস্তারে সহায়তা করে।কাঁচা ফল-মূল ধুয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, খাবারের আগে হাত ভালো ভাবে ধুয়ে নেওয়া, স্বাস্থসম্মত পায়খানা ব্যবহার করা, খালি পায়ে না হাঁটা এবং অল্প সিদ্ধ শাক-সবজি বা মাংস না খাওয়া ইত্যাদি সাবধানতা অবলম্বন করে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
No comments:
Post a Comment