ক্লান্তি দূর করার জন্য ১ কাপ লাল চায়ের তুলনা অপরিসীম। কিন্তু আগের মতো করে বর্তমানে ক্লান্তি দূর করার জন্য লাল চা তেমন পান হয় না। এখন মানুষ মজার তালে কিংবা উপকারের জন্য চা পান করে। তবে চায়ের গুনাগুন সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা কম। উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে সারা বিশ্বের প্রত্যেকটা দেশগুলোতেই পানীয় হিসেবে চা জনপ্রিয়। দিনে তিন কাপ লাল চা পান করলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। চায়ের আবার বিভিন্ন ধরন রয়েছে যেমনঃ লাল চা, গ্রিন টি, দুধ চা, ওলোং চা, গাঁজনোত্তর চা, সবুজ চা, হলুদ চা, সাদা চা ইত্যাদি। একেক চায়ে একেক স্বাদ তবে লাল চা ও গ্রিন টিতে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
চায়ের ভিতরে বিভিন্ন উপাদান রয়েছে।বিশেষ করে লাল চায়ে ম্যাঙ্গানিজ, পলিফেনল, পটাশিয়াম, ক্যাফেইন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্লোরাইড উপাদান রয়েছে। এছাড়াও এপিগ্যালোক্যাটেচিন গ্যালেট নামক রাসায়নিক পদার্থ চায়ে রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
চা কিভাবে হয় ?
সকল প্রকার চা উৎপাদন হয় 'ক্যামেলিয়া সিনেসিস' নামক উদ্ভিদ থেকে যা ভারতবর্ষের একটি উপ-প্রজাতির উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদ থেকে পাতা এবং পাতার কুড়ি সংগ্রহ করে চা তৈরি করা হয়।
চা পান করার উপকারিতাঃ-
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে : চায়ে বিদ্যমান ট্যানিন উপাদান হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে।
হৃৎপিন্ড সুস্থ রাখে : এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে কার্ডিও ভাস্কুলার সমস্যা দূর করে লাল চা এবং প্রতিদিন লাল চা পান করলে হৃৎপিন্ড সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : চায়ে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট নামক উপাদান যা বিভিন্ন ধরণের রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ : লাল চায়ে এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা বিশেষ করে ব্লাড ও ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
তাছাড়াও চায়ে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা শরীরে রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্যাস্ট্রিক বা আলসার প্রতিরোধ করে। মানসিক চাপ কমানোর জন্য লাল চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
No comments:
Post a Comment