শতাধিক প্রকার বাত রোগের মধ্যে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস অন্যতম। সাধারণত বয়স্করা এ রোগে আক্রান্ত হয়। কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের বেলায় গিঁটে ব্যাথা বা যন্ত্রনা হওয়ার রিউমেটিক ফিভার বা বাতজ্বর জাতীয় অন্য রোগের লক্ষণ হতে পারে। অস্থিসন্ধির অসুখের প্রকারভেদ অনুসারে চিকিৎসার পার্থক্য হয়। দুইজন ব্যাক্তি দুটি ভিন্ন প্রকারের অস্থিসন্ধির অসুখে আক্রান্ত হলেও তাদের লক্ষণ আপাতদৃষ্টিতে এইরকম হতে পারে। সেক্ষেত্রে দুইজনের ভিন্ন প্রকারের চিকিৎসা প্রয়োজন। এজন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ ছাড়া বাতের চিকিৎসা করা উচিত নয়। এতে উপকারের চেয়ে উপকার বেশি হতে পারে।
লক্ষণ
১. অস্থিসন্ধি বা গিঁটে প্রদাহ বা ব্যাথা হয়।
২. অস্থিসন্ধিগুলো শক্ত হয়ে যায়।
৩. অস্থিসন্ধি নাড়াতে কষ্ট হয়।
৪. গিঁট ফুলে যায়।
প্রতিকার
বয়স্কদের বেলায় এ রোগ পুরোপুরি সরানো যায় না। তবে কিছু ব্যবস্থা নিলে কিছুটা উপশম হয়, যথা-
১.অত্যাধিক পরিশ্রম আর ভারী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
২. যন্ত্রণাদায়ক গিঁটের উপর কুসুম গরম স্যাক নিতে হবে।
৩. অস্থিসন্ধির নাড়াচাড়া ঠিক রাখতে হালকা ব্যায়াম করতে হবে।
৪. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বেদনা উপশমকারী ঔষধ সেবন ও সঠিক চিকিৎসা দিয়ে এ রোগের কষ্ট থেকে আংশিক পরিত্রান পাওয়া যায়।
প্রতিরোধ
১. চিকিৎসক নির্দেশিত পদ্ধতিতে নিয়মিত ব্যায়াম করা।
২. সুষম ও আঁশযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা।
No comments:
Post a Comment